রাহাদ সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যখাতের সংস্কারের তিন দফা দাবি আদায়ে ৫ম দিনের মতো চলছে বরিশাল ব্লকেড কর্মসূচি।
এ নিয়ে ১৫ দিনে পৌঁছল এই আন্দোলন। এছাড়া কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা নগরীর সদর রোড অবরোধ করেছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থীকে স্যালাইন ও অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরী। যানজট, গাড়ির সংকট এবং হয়রানিতে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষও দ্রুত দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে সিফাত নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য আমরা দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে আসছি। কিস্তু এখন পর্যন্ত কতৃপক্ষ কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। যতদিন পর্যন্ত স্বাস্থ্যখাত সংস্কার না হবে তত দিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আরেক শিক্ষার্থী জিয়াউল হাসান বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা না বলে সরকার ভুল করছে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টাকে বরিশালে আসতে হবে। এসে দাবি মেনে নিতে হবে। নয়তো আমাদের আন্দোলন থামানোর সাধ্য কারো নেই।
শিক্ষার্থী শান্ত খান বলেন, স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার চেয়ে অনশনে বসা দুজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দাবি না মানলে আন্দোলন আরও তীব্র আকার ধারন করবে। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার সাড়া দিচ্ছে না। অথচ পুলিশ-সেনা বাহিনী ব্যবহার করে ভয় দেখাচ্ছে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মতোই আচরণ করছে। আমরা এবার স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।
এদিকে, আন্দোলনে একাত্মততা জানিয়ে সদর রোড স্কুলের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে মহিউদ্দিন রনি দাবি না মানা হলে আগামীকাল বুধবার থেকে পুরো বরিশাল বিভাগ ব্লকেডের ঘোষণা দেন।
এর আগে, রোববার হাসপাতাল নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্কারে তিন মাসের সময় চেয়েছেন পরিচালক মশিউর মুনির।